বৃহস্পতিবার, 8 মে 2025 | [bangla_date]
  1. বিশেষ সংবাদ
  2. বাংলাদেশ
  3. রাজধানী
  4. শিক্ষা
  5. রাজনীতি
  6. আন্তর্জাতিক
  7. বাণিজ্য
  8. বিনোদন
  9. খেলাধুলা
  10. প্রযুক্তি
  11. জীবনযাপন
  12. আইন অঙ্গন
  13. ভিডিও
  14. মতামত
  15. সম্পাদকীয়

মৎস্য অধিদপ্তরের নতুন পদে দ্রুত নিয়োগের দাবিতে পবিপ্রবিতে মানববন্ধন

প্রতিবেদক
পবিপ্রবি প্রতিনিধি
বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫ - ৩:২৫ অপরাহ্ন

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন মৎস্য অধিদপ্তরের প্রস্তাবিত অর্গানোগ্রাম দ্রুত বাস্তবায়ন এবং নতুন সৃষ্ট পদে দ্রুত নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, “২০২০ সালে প্রণীত অর্গানোগ্রাম আজও বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি। ফলে হাজারো মাৎস্যবিজ্ঞান গ্র্যাজুয়েট সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ন্যূনতম সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন।”

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘ চার বছরের পরিশ্রমে অর্জিত ডিগ্রি যেন আজ মূল্যহীন হয়ে পড়েছে। পটুয়াখালীর মতো দূরবর্তী অঞ্চলে থেকেও তারা নিরলস পরিশ্রম করে নিজেদের দক্ষ করে তুলেছেন, কিন্তু সরকারি কাঠামোয় তাদের জন্য নেই কোনো সুসংহত পেশাগত অবস্থান।

স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী মুশফিক রিফাত বলেন, “আমরা এই খাতে বিশেষায়িত হয়েছি দেশের মৎস্যসম্পদ, পুষ্টি ও অর্থনীতিতে অবদান রাখার প্রত্যাশায়। কিন্তু অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়ন না হওয়ায় আমরা বারবার হতাশ হচ্ছি।”

শিক্ষার্থী সোহেল রানা জনি বলেন, “সরকার যেখানে দক্ষ জনবলকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে, সেখানে আমরা প্রয়োজনীয় দক্ষতা নিয়েও প্রাতিষ্ঠানিক অবহেলার শিকার হচ্ছি। দ্রুত নিয়োগ না হলে মৎস্য খাত থেকে মেধাবীরা সরে যেতে বাধ্য হবেন।”

ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী মোহাইমিন আজিম তাসিন ও ইত্তেজা সাবাব বলেন, “আমরা চাই দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টির উন্নয়নে মাৎস্যবিজ্ঞানীরা সক্রিয়ভাবে ভূমিকা রাখুক। এজন্য প্রয়োজন যথোপযুক্ত চাকরির সুযোগ এবং বাস্তবভিত্তিক নীতিনির্ধারণ।”

মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এসএম হেমায়েত জাহান। তিনি শিক্ষার্থীদের বক্তব্যের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, “আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের নেতৃত্ব। মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের প্রাণবন্ত শিক্ষার্থীরা শুধু নিজেদের ভবিষ্যতের কথা বলেনি, বরং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টির বিষয়েও সচেতনতা দেখিয়েছে—এটি অত্যন্ত ইতিবাচক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের সকল ন্যায্য দাবির সঙ্গে একমত এবং সরকারের উচ্চপর্যায়ে এই দাবিগুলোর গুরুত্ব তুলে ধরার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলামও মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বলেন, “আমাদের ছাত্রছাত্রীরা একটি সময়োপযোগী ও যৌক্তিক দাবি উত্থাপন করেছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি। আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে উপস্থাপন করব।”

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ সাজেদুল হক। তিনি বলেন, “যথাযথ পদ সৃষ্টি না হলে এই বিশেষায়িত শিক্ষার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ কমে যাবে, যা ভবিষ্যতে দেশের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।”

আয়োজকরা প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, “দেশের সম্ভাবনাময় মৎস্য খাতকে এগিয়ে নিতে অর্গানোগ্রাম দ্রুত বাস্তবায়ন এবং নতুন পদে নিয়োগ দিতে হবে। তা না হলে একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত অবহেলার শিকার হয়ে পড়বে।”

উল্লেখ্য, পবিপ্রবির মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ থেকে প্রতিবছর বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী ডিগ্রি অর্জন করলেও সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানে তাদের জন্য নেই প্রয়োজনীয় সংখ্যক পদ। এতে করে একটি সম্ভাবনাময় খাত দিনের পর দিন অযত্নে পড়ে রয়েছে।

সর্বশেষ - বিশেষ সংবাদ

আপনার জন্য নির্বাচিত

পাবিপ্রবিতে অর্থনীতি বিভাগের ইফতার ও দোয়া মাহফিল

যশোরে নগর ও সদর উপজেলা বিএনপি আয়োজিত ব্যতিক্রমী আনন্দ মিলন মেলায়

ববি সাংবাদিক সমিতির প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ ও বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত

ফেক একাউন্ট খুলে শিবিরের বিরুদ্ধে দিনে ১০ পোস্ট করার নির্দেশনা ছাত্রদল নেতার, স্ক্রিনশট ভাইরাল

নাগেশ্বরীতে নারী উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ ও ভাতা বিতরণ অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রামে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ভিজিএফ চাল বিতরণ: অনিয়মের অভিযোগে বিতর্কের ঝড়

আজ থেকে শুরু হলো পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ইলেকট্রিক্যাল আন্ত: ডির্পাটমেন্ট ক্রিকেট টুর্নামেন্ট

আশিয়ানের সদস্য হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ

সার্বিক পরিস্থিতির জন্য ফ্যাসিস্ট হাসিনা দায়ী: জামায়াতের আমির

কুড়িগ্রামের দুধকুমর নদীতে চায়না জালের ভয়াল আগ্রাসন, দেশি মাছ বিলুপ্তির পথে