বুধবার, 7 মে 2025 | [bangla_date]
  1. বিশেষ সংবাদ
  2. বাংলাদেশ
  3. রাজধানী
  4. শিক্ষা
  5. রাজনীতি
  6. আন্তর্জাতিক
  7. বাণিজ্য
  8. বিনোদন
  9. খেলাধুলা
  10. প্রযুক্তি
  11. জীবনযাপন
  12. আইন অঙ্গন
  13. ভিডিও
  14. মতামত
  15. সম্পাদকীয়

আইনের ছায়ায় বেআইনি খেলা: আখাউড়ার সোহাগকে ঘিরে ক্ষোভের বিস্ফোরণ

বুলেটিন বার্তা ডেস্ক:
বুলেটিন বার্তা ডেস্ক:
বুধবার, ৭ মে ২০২৫ - ১২:০১ পূর্বাহ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

“শামসুদ্দিন ভূঁইয়া সোহাগ” আখাউড়ায় ত্রাস সৃষ্টিকারী এ আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। গত স্বৈরাচারের শাসন আমলে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের আস্থাভাজন পরিচয় দিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করা, স্বৈরাচার পতনের পর বিএনপি’র সাবেক এমপির আস্থাভাজন পরিচয় দিয়ে নেতাকর্মীদের আতংকে রাখা, মামলা বাণিজ্য, সেল্টার দিয়ে কৃষি জমিতে মাটি কাটানো, আইনের অপপ্রয়োগ করে মিথ্যা মামলা দেওয়া, নিজের অপকর্মের সমালোচনা করলে মামলা করার হুমকি দেওয়া, ব্যারিস্টার পরিচয়ে প্রশাসনের উপরি মহলে দৌড়ঝাপ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির পদ বাগিয়ে নিতে কুটচাল ও আধিপত্য বিস্তার সহ নানা অভিযোগ রয়েছে শামসুদ্দিন সোহাগের বিরুদ্ধে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, তার চাচাতো ভাইয়ের ছেলে ঝিকুটিয়া গ্রামের জসিম ভূইয়া এবং ২নং ধরখার ইউনিয়নের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান আশেক ভূইয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে প্রেরণ করে সোহাগ। পরবর্তীতে মামলা প্রত্যাহার করে নিজেই জেল থেকে বের করে আধিপত্যের জানান দেন। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে মামলা আতংক ছড়িয়ে পড়ে।

২ং ধরখার ইউনিয়ন এর সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান আশেক ভূঁইয়া বলেন, “সে একবার আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে জেল খাটিয়েছে। আমি চাইনা আইনের অপব্যবহার করে এভাবে কেউ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করুক।”

ইতোপূর্বে সোহাগের বিরুদ্ধে আইনজীবী হওয়ার আগেই আইনজীবী পরিচয় দিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করার অভিযোগ রয়েছে। এমন প্রতারণার স্বীকার হয়ে এক ভুক্তভোগী বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে মামলা করেন। তৎকালীন বার কাউন্সিল থেকে জানানো হয় সোহাগ বারের সদস্য নয়, তাই তার বিরুদ্ধে বার কাউন্সিল কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবে না। বার কাউন্সিল শুধু আইনজীবীদের অপরাধ বিষয়ক মামলা দেখাশোনা করে। তবে বার কাউন্সিল তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের মামলা করার সুপারিশ করে।বর্তমানে সে বার কাউন্সিলের সদস্য হলেও নিজের নামের সাথে ব্যারিস্টারের মিথ্যা তকমা লাগানোর অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।

এদিকে, গত স্বৈরাচারের শাসন আমলে আওয়ালীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ এর আস্থাভাজন ও তার মেয়ের ক্লাসমেট পরিচয় দিয়ে এবং সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপসের সাথে সুসম্পর্ক উল্লেখ করে এলাকায় মামলা বাণিজ্য আর আধিপত্য চালিয়ে যেত বলে অভিযোগ রয়েছে সোহাগের বিরুদ্ধে।

জেলা বিএনপির সদস্য বেলাল উদ্দিন সরকার তুহিন বলেন, তার আধিপত্য বিস্তারের বিষয়ে লোকমুখে প্রায় শোনা যায়। তবে আমি গত ১৭ বছরে তাকে বিএনপির কোনো কার্যক্রমে অংশ নিতে দেখিনি। এখন সে নিজেকে বিএনপির সাবেক এমপি মুশফিকুর রহমানের কাছের লোক দাবি করে দলীয় নেতাকর্মীদের উপর আধিপত্য বিস্তার করছে।”

ধরখার ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক জুরু বলেন, আমরা সাবেক এমপি বিএনপি নেতা মুশফিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করেছি। মুশফিকুর রহমান কখনো তাকে এ ধরনের দায়িত্ব দেননি। সোহাগ মুশফিকুর রহমানের নাম ব্যবহার করে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিভিন্ন ইস্যুতে হুমকির উপরে রাখছে। অথচ বিগত ১৭ বছরে আমি কখনোই তাকে বিএনপির কোনো কার্যক্রমে দেখিনি।”

আবার বিএনপির নাম ব্যবহার করে আওয়ামীলীগ পূনর্বাসন করছে বলেও অভিযোগ আছে সোহাগের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সাবেক ওয়ার্ড মেম্বার ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের দোসর এলাই ভুঁইয়া, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী সাদেক ভূইয়া ও আওয়ামীলীগ নেতা বাবুল ভূইয়া তার অপকর্মের অন্যতম সহযোগী। অথচ এই ব্যক্তি বর্তমানে নিজেকে বিএনপির কর্মী দাবি করে প্রশাসনিক ও দলীয় বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা আদায় করে নিচ্ছে। সম্প্রতি ফেইসবুক পেইজে তার অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরুপ এক পোস্টের জের ধরে এলাকার এক প্রবাসীকে ভয়েস মেসেজে হুমকি প্রদান করে সোহাগ। যা প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে।

আয়ারল্যান্ড প্রবাসী ওসমান গণি বলেন, “সোহাগ নিজেকে সাবেক সংসদ সদস্য মুশফিকুর রহমানের একনিষ্ঠ কর্মী দাবি করে বলেন, মুশফিকুর রহমানের পক্ষে সে ডিসি এসপিসহ প্রশাসনের সাথে লিয়াজো করে। সে চাইলে নাকি আমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার সহ যেকোনো ব্যবস্থা নিতে পারেন!”এছাড়াও জেলা গোয়েন্দা সংস্থা তার নিয়ন্ত্রণে আছেন বলে হুমকি দেন তাকে।

এদিকে নোয়াপাড়া ঝিকুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির পদ ভাগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে অনৈতিক প্রস্তাব প্রদান এবং রাজি না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কুটচাল করে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে সোহাগের বিরুদ্ধে।

প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন,
“তার মেয়ের ডকুমেন্ট পাঠিয়ে ভর্তি করানোর জন্য ফোন করে বলে তার মেয়েকে ভর্তি নিতেই হবে। এবং তার মেয়ে এখানে পড়বেনা, আমরা যাতে নিয়মিত তার এটেন্ডেন্স দিয়ে দেই। যাতে অভিভাবক হিসেবে সে এডহক কমিটিতে থাকতে পারে। আমি তার মেয়েকে ভর্তি না নেওয়ায় সে উপরি মহলে আমার নামে নানান মিথ্যা অপবাদ ছড়িয়েছে। যাতে আমাকে এখান থেকে বদলি করতে পারে।”

এছাড়াও, বড় ভাইয়ের স্ত্রীকে ডিভোর্স করিয়ে দেওয়া, আইনের মারপ্যাচে ফেলে বড় ভাইয়ের স্ত্রীর দেনমোহরের টাকা না দেওয়া, ওষুধ ব্যবসায়ীকে হুমকি দেওয়া সহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে এ সোহাগের বিরুদ্ধে। এদিকে ভুয়া ব্যারিস্টার পরিচয় যাচাই করতে বুলেটিন বার্তা টিম ব্যারিস্টার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর শরণাপন্ন হয়ে সোহাগের মেম্বারশীপের সংশ্লিষ্টতা পায়নি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে শামসুদ্দিন ভূঁইয়া সোহাগ এর সাথে যোগাযোগ করলে সে বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট এ কে এম কামরুজ্জামান মামুন বলেন, বর্তমানে সে বারকাউন্সিলের আইনজীবী। এসব বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে যাচাই-বাছাই পূর্বক আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বার কাউন্সিল তার বিষয়ে সিদ্বান্ত গ্রহণ করবে।

সর্বশেষ - বিশেষ সংবাদ

আপনার জন্য নির্বাচিত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে বহিরাগত শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু

লংগদুতে’ ছাত্রদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উৎযাপন

ইবিতে ডিজিটাল স্কিল প্রশিক্ষণ সনদ বিতরণ

গাইবান্ধা জেলা পরিষদের এডিপি প্রকল্পে পলাশবাড়ীতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

সানকি পাড়া বাজরে রেলওয়ের অভিযানে ২৫০ দোকান উচ্ছেদ

বাকৃবি প্রশাসনের নির্ধারিত ভাড়া মানছেন না রিকশাচালকরা

নাগেশ্বরীতে জামায়াতে ইসলামীর ইফতার মাহফিল ও রমজানের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা সভা

রাবিতে কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদ; বিতরণ হবে ১ হাজার কোরআন

স্বাধীনতার পর যশোরে প্রথম পুলিশ প্রশাসনের প্রধান নারী এসপি রওনক জাহান

ডাবল মাস্টার্সে ভর্তির চেষ্টায় ব্যর্থ হাবিপ্রবি ছাত্রদলের আহবায়ক