বৃহস্পতিবার, 15 মে 2025 | [bangla_date]
  1. বিশেষ সংবাদ
  2. বাংলাদেশ
  3. রাজধানী
  4. শিক্ষা
  5. রাজনীতি
  6. আন্তর্জাতিক
  7. বাণিজ্য
  8. বিনোদন
  9. খেলাধুলা
  10. প্রযুক্তি
  11. জীবনযাপন
  12. আইন অঙ্গন
  13. ভিডিও
  14. মতামত
  15. সম্পাদকীয়

নিজের জীবনেই ব্যস্ত আমরা, ফিলিস্তিন কি তাহলে একা?

মোঃ নাসরুল্লাহ সাকিব, রামপুরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
মোঃ নাসরুল্লাহ সাকিব, রামপুরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫ - ৮:৪১ অপরাহ্ন

নতুন করে গাজা উপত্যকায় মানবিক বিপর্যয় চরম আকার ধারণ করেছে। ইসরায়েলি অবরোধ ও ধারাবাহিক বোমা হামলার কারণে পুরো অঞ্চলের খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) জানিয়েছে, গাজার ৭০ শতাংশেরও বেশি কৃষিজমি ধ্বংস হয়ে গেছে, আর ৯৫ শতাংশ গবাদিপশু মারা গেছে। এর ফলে স্থানীয়ভাবে খাদ্য উৎপাদন অসম্ভব হয়ে পড়েছে। একইসাথে বাইরের থেকে খাদ্য সরবরাহ বন্ধ থাকায় প্রায় ২০ লাখ মানুষ চরম খাদ্য সংকটে ভুগছে। Integrated Food Security Phase Classification (IPC) অনুযায়ী, গাজায় বর্তমানে প্রায় ৪৭০,০০০ মানুষ দুর্ভিক্ষের চূড়ান্ত ঝুঁকিতে রয়েছে।

এই অবস্থার প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক মহলে প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনিতা আনন্দ স্পষ্টভাবে বলেছেন, ইসরায়েল খাদ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে, যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁও ইসরায়েলের কার্যকলাপকে “লজ্জাজনক” বলে উল্লেখ করেছেন এবং কূটনৈতিক চাপ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছেন। এমন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত Gaza Humanitarian Foundation (GHF) ঘোষণা দিয়েছে যে তারা মে মাসের শেষ নাগাদ গাজায় জরুরি ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করবে। তবে উত্তর গাজার মতো কিছু অঞ্চলে এখনও ত্রাণ পৌঁছাতে মারাত্মক বাধার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

এত বিপর্যয়ের মধ্যেও প্রশ্ন জাগে—আমরা কি তবে ফিলিস্তিনিদের ভুলেই গেছি? নিজেদের জীবনের ব্যস্ততায় আমরা কি তাদের আর মনে রাখি না? যাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে, সন্তান হারিয়েছে, দিনের পর দিন অনাহারে থেকে মৃত্যুর মুখে পড়ছে, তাদের জন্য কি আমাদের কিছুই করার নেই? মুসলিম উম্মাহ হিসেবে আমাদের কি দায়িত্ব নেই এই অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার, দোয়া করার, অথবা অন্তত মানবিক সহানুভূতি দেখানোর?

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম, যেমন Reuters, Financial Times, FAO, Axios ও The Times এর রিপোর্ট অনুযায়ী, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা করছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

এই সংকট নিরসনে অবিলম্বে আন্তর্জাতিকভাবে মানবিক করিডোর চালু ও অবরোধ প্রত্যাহারের দাবি উঠছে। বিশ্ব সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ না করলে গাজার জনগণের জন্য ভবিষ্যৎ হয়ে উঠতে পারে আরও ভয়াবহ। আমাদের দায়িত্ব, আমরা যেন চুপ করে না থাকি। অন্তত দোয়ায়, মানবতার কণ্ঠে, এবং সচেতনতায় ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াই।

সর্বশেষ - বিশেষ সংবাদ

আপনার জন্য নির্বাচিত