সম্পর্কিত খবর

পলাশবাড়ীতে জামায়াতের সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল

দিরাই উপজেলা কুলঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

গত ১ বছর ধরে সংস্কারের দাবানল চলছে: অধ্যাপক ড. গোলাম রাব্বানী

পরিবহনসেবা সংশ্লিষ্ট মতবিনিময় সভায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং ছাত্র হলের প্রাধ্যক্ষকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের নি

• পলাশবাড়ীতে জামায়াতের সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল

  

  বুলেটিন বার্তা ডেস্ক:
  

  শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ - ৮:৩৬ অপরাহ্ন

  ✅ Link copied!
  

  আশরাফুজ্জামান সরকার, পলাশবাড়ী, গাইবান্ধাঃ- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পৌর শহীদ মিনার মাঠে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

  বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের রাজনৈতিক সেক্রেটারি ও গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ী-
  সাদুল্লাপুর) আসনে জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা নজরুল ইসলাম লেবু।

  

  তার বক্তব্যে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশায় তারা ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে, যেখানে শোষণ, বৈষম্য ও জুলুম থাকবে না।”

  অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম লেবু জামায়াতের পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে বলেন—

  ১. জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
  ২. আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করতে হবে।
  ৩. অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সকল দলের জন্য সমান সুযোগ ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।
  ৪. ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করতে হবে।
  ৫. স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।

  পলাশবাড়ী উপজেলা জামায়াতের আমীর ও কিশোরগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন স্থানীয় জামায়াত নেতৃবৃন্দ।

  সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে।
• দিরাই উপজেলা কুলঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

  

  মোঃ নয়ন মিয়া , সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
  

  শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫ - ৩:১৬ অপরাহ্ন

  ✅ Link copied!
  

   

   

  নবগঠিত আহ্বায়ক,  আব্দুল মতিন চৌধুরী  বলেন আমি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলাম,দলের দুর্সময়ে সব সময় দল কে সুসংগঠিত করে রাখতে পরিশ্রম করেছিলাম, এবং দল আজ আমাকে আমার পরিশ্রমের মুল্যায়ণ করেছে,বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সহ উপজেলার নেতৃবৃন্দের কাছে চিরকৃতজ্ঞ, 

   

   

    আমি দীর্ঘদিন যাবত আমার জীবন যৌবন বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে রাজনীতি করেছি দলের দুর্সময়ের সর্বক্ষণ পাশে থেকেছি এবং দল আমাকে সেটা মুল্যায়ণ ও করেছে আজ,আমাকে কুলঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক দায়িত্ব দেওয়ায় আমি যারা দলের দুর্সময়ের দলের পাশে ছিল তাদের খুজে বের করে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের হাত শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে কাজ করে যাবো ইনশাল্লাহ, 

   

  নবগঠিত

  ১১ সদস আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরা হলেন যারা:

   

   

  ১/ আব্দুল মতিন চৌধুরী, আহ্বায়ক 

   

  ২/শিহাব আহমেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক, 

   

  ৩/আতিকুর রহমান (আতি)

   সদস্য, 

   

  ৪/ আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান তালুকদার,  সদস্য 

   

  ৫/ মঈনুদ্দিন চৌধুরী মজনু,

   সদস্য, 

   

  ৬/ শাহিন মিয়া, সদস্য 

   

  ৭/ হাফিজুর রহমান, সদস্য 

   

  ৮/ বাবুল তালুকদার,, সদস্য 

   

  ১০/ জুতি দাস, সদস্য 

   

  ১১/ মোঃ সাজন মিয়া, সদস্য 

   

   

  ২৭শে জুলাই দিরাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি সাক্ষরে দিরাই উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের কমিটি অনুমোদন ঘোষণা করা হয়,

   

  এবং উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি জানান আমরা ৯ টি ইউনিয়নেই দলের দুর্সময়ের ত্যাগী নেতা কর্মীদের মুল্যায়ণ করার চেষ্টা করেছি,,তাদের মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে ত্যাগী কর্মীরা বের হয়ে আসবে,দল আরও শক্তিশালী করে গড়ে তুলবে,,,

   

  দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের হাত কে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে তৃণমূল থেকেই কর্মীদের মুল্যায়ণ করা হয়েছে জানিয়েছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির দায়িত্ব নেতৃবৃন্দ। 
• গত ১ বছর ধরে সংস্কারের দাবানল চলছে: অধ্যাপক ড. গোলাম রাব্বানী

  

  Delowar Mahmud
  

  বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫ - ১:৪৬ অপরাহ্ন

  ✅ Link copied!
  

  দেলোয়ার মাহমুদ, ডিআইইউ প্রতিনিধি:

  গত ১ বছর ধরে সংস্কারের দাবানল চলছে। ১১ টি সংস্কার কমিশন হয়েছে। ড. ইউনুসের উপর আমাদের এতো আশা ছিলো, সেখানে সংস্কারের দাবানল করছে শিক্ষা সংস্কার বাদ দিয়ে। আজ পর্যন্ত দেখেছেন কখনো কোনো নীতি বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত হয়েছে, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে তিনি বসেছেন, যে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী দেশ পুনর্গঠনের জন্য কি করা উচিত? অথচ ড. ইউনুসের এই সরকার এ বিষয়ে ভুরুক্ষেপ করছেন না, শিক্ষারও তিনি করছেন না ’ – জুলাই অভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে এমন কথা বলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী।

  বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ডিআইইউ) জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের স্মরণে ‘জুলাই স্মৃতিচারণ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

  তিনি বলেন, ‘১৮ জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে ঘুরিয়ে দিয়েছে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। সেই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় স্বীকৃতি আমরা সেভাবে দেখিনি। তাই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়কে বাদ দিয়ে কিছু লেখা সম্ভব নয়’ – জুলাই অভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে এমন কথা বলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী।

  তিনি আরও বলেন, যে অভূতপূর্ণ অভ্যুত্থান শুরু হয়েছিল ১৫ জুলাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটেছিলো সেখানে আমি ছিলাম। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ঘটনাগুলো ঢাকা আরিচা মহাসড়কের পাশে আমাদের অবস্থান এবং জাবির যে ভূমিকা। এরপর আপনারা জানেন যে ১৬ জুলাই সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়। পরেরদিন ১৭ জুলাই আপনারা জানেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়া হয়। অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর ১৮ তারিখ সারা বাংলাদেশকে ঘুরিয়ে দিয়েছে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আমার প্রিয় ডিআইইউ এর শিক্ষার্থীরা, ইস্ট ওয়েস্ট, ইউআইইউ, নর্থ সাউথ, ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয় সহ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

  মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী বলেন, আপনারা জানেন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কি পরিমাণ ট্রমাটাইজ ছিলো। এখন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব সমন্বয়করা নেতা হয়েছেন, বড় বড় দল গঠন করেছেন, রাষ্ট্র গঠন করছেন, সরকার গঠন করেছেন, দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তারা সেই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কতটুকু স্পেস দিয়েছেন? আপনারা যারা সারা বাংলাদেশ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন আপনাদের সেই দলের মধ্যে কয়টা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়টা শিক্ষার্থী আছে?

  অনুষ্ঠানে জুলাই আন্দোলনে আহত একাধিক শিক্ষার্থী তাদের অভিজ্ঞতা ও সেই সময়কার স্মৃতি তুলে ধরেন। পাশাপাশি বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বক্তব্যে আন্দোলনের পটভূমি, প্রেরণা ও পরিণতি তুলে ধরা হয়।

  এসময় উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. ফয়জুল হক, ফেইস দ্যা পিপলের সম্পাদক সাইফুর সাগর, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রশিদুল ইসলাম রিফাত, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক শেখ মাহবুবুর রহমান নাহিয়ান, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের প্রকাশনা সম্পাদক মো. আবু সাদিক (কায়েম), বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের সদস্য সচিব জাহিদ আহসান, ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়কারী রাফে সালমান রিফাত, ইয়ুথ ফর বেটার ফিউচার সোসাইটির মুখপাত্র রওশন জামিল রাকিব, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার আহমেদ, জুলাই ঐক্যের মুখপাত্র মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ, এনসিপি যুগ্ন আহ্বায়ক ড.আতিক মুজাহিদ প্রমুখ।

  এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জাহিদুল ইসলাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গণেশ চন্দ্র সাহা, প্রক্টর ও প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীবৃন্দ।

  সন্ধ্যায় এক জাঁকজমকপূর্ণ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।