শনিবার, 14 জুন 2025 | [bangla_date]
  1. বিশেষ সংবাদ
  2. বাংলাদেশ
  3. রাজধানী
  4. শিক্ষা
  5. রাজনীতি
  6. আন্তর্জাতিক
  7. বাণিজ্য
  8. বিনোদন
  9. খেলাধুলা
  10. প্রযুক্তি
  11. জীবনযাপন
  12. আইন অঙ্গন
  13. ভিডিও
  14. মতামত
  15. সম্পাদকীয়

ইরানের ভয়ঙ্কর প্রতিশোধে কাঁপছে ইসরায়েল

মোঃ নাসরুল্লাহ সাকিব, রামপুরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
মোঃ নাসরুল্লাহ সাকিব, রামপুরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫ - ১:৫৬ অপরাহ্ন

শুক্রবার দিবাগত রাতে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার নতুন অধ্যায় রচিত হয়, যখন ইরান তার ‘Operation True Promise III’ নামে প্রচণ্ড পাল্টা আঘাত হানে ইসরায়েলের উপর। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স ও আল-জাজিরা নিশ্চিত করেছে, এই হামলায় ইরান একসাথে শতাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করে ইসরায়েলের মূল ভূখণ্ড লক্ষ্য করে আঘাত হানে।

হামলার মূল লক্ষ্য ছিল ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিব, জেরুজালেম এবং গোলান হাইটসের সামরিক স্থাপনাগুলো। রামাত দাভিদ বিমানঘাঁটি, একটি রাডার স্টেশন এবং নেভি ঘাঁটিতে সরাসরি আঘাত হানার প্রমাণ পাওয়া গেছে। যদিও ইসরায়েল দাবি করেছে যে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা Iron Dome এবং David’s Sling বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র মাঝপথেই প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে, তবে বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যে পৌঁছেছে এবং উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতির খবরও পাওয়া গেছে।

ইরানের এই হামলা সরাসরি জবাব ছিল বুধবার রাতের সেই অভিযানের, যেখানে ইসরায়েল তেহরানের আশপাশে ইরানের সামরিক ও পরমাণু স্থাপনাগুলোতে লক্ষ্য করে বোমা বর্ষণ করেছিল। ওই হামলায় ইরানের কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তার মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল, যেটিকে ইরান রাষ্ট্রীয় অপমান হিসেবে নিয়েছে।

পাল্টা হামলার পর ইসরায়েলের বহু শহরে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সাধারণ মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য শেল্টারে দৌড়াতে শুরু করে। নিরাপত্তাজনিত কারণে কিছু অঞ্চল থেকে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, অনেক জায়গায় আগুন ও ধ্বংসস্তূপে ঢাকা পড়েছে রাস্তা, ভবন।

এই হামলার পর আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এক বিবৃতিতে বলেন, “এমন চলতে থাকলে তা সরাসরি পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে রূপ নিতে পারে।” যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনসহ বিশ্বশক্তিগুলো উভয় পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ইরান এই হামলার মাধ্যমে কেবল সামরিক প্রতিশোধই নেয়নি, বরং একটি মনস্তাত্ত্বিক বার্তা দিয়েছে—যেখানে বোঝানো হয়েছে, “যদি ইরানকে আঘাত করা হয়, তবে তার জবাব বেদনাদায়ক হবে।” তেহরানে জনসমাবেশে লাখো মানুষ সেনাবাহিনীর পক্ষে স্লোগান দিয়ে সমর্থন জানায় এবং আরও শক্ত প্রতিশোধের দাবি তোলে।

এই অবস্থায় মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা এখন গুরুতর হুমকির মুখে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, এই সংঘর্ষ যদি আরও বিস্তৃত হয়, তাহলে তা গোটা অঞ্চলজুড়ে অগ্নিসংযোগ ঘটাতে পারে। এখন সময় এসেছে কূটনৈতিকভাবে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার—নইলে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।

সর্বশেষ - বিশেষ সংবাদ